করোনা মুক্ত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় , আপাতত থাকছেন গৃহবন্দী

9th July 2020 9:05 am হুগলী
করোনা মুক্ত সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় , আপাতত থাকছেন গৃহবন্দী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : করোনা জয় করে বাড়ি ফিরলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ।  গত শুক্রবার টুই্যট করে নিজেই জানিয়েছিলেন করোনা পজিটিভ এর কথা । এক সপ্তাহের মধ‍্যেই ফের সকলকে আশ্বস্ত করে টুইটারে জানালেন করোনা মুক্ত হবার কথা । ধন‍্যবাদ জানিয়েছেন চিকিৎসক , স্বাস্থ্য কর্মী সহ তাঁর শুভানুধ্যায়ীদের । আপাতত ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন তিনি । 

করোনা পজিটিভ জানার পরেই দলের কর্মী সমর্থক সহ নেতৃত্ব বেশ কিছুটা চিন্তিত ছিলেন । দলের বিভিন্ন কর্মসূচী তে বিভিন্ন জেলায় অংশগ্ৰহণ করেছিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । অল্প জ্বর আসার কারণে নিজেই পরীক্ষা করান । করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন‍্য প্রার্থনা জানিয়েছিলেন বিরোধীপক্ষ অর্থাৎ তৃণমূলের সাংসদ কল‍্যাণ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় । স্বয়ং মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ফোন করে শারিরীক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন । এমনকি " বড় দিদি " হিসাবে পাশে থাকার কথাও দিয়েছেন । সকলের উৎকন্ঠা কাটিয়ে ৫ দিনের মধ‍্যেই করোনা জয় করে ফিরলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । দ্রুত দলীয় কর্মসূচী তে ফের যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । আগামী কয়েকটা দিন গৃহবন্দী অবস্থায় থাকছেন সাংসদ  চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনেই ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।